রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
নীলফামারীতে হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন
সত্যেন্দ্রনাথ রায়,নীলফামারী,প্রতিনিধি
নীলফামারীতে কয়েক দিনের শৈতপ্রবাহ
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন।
হিমেল হাওয়ার কারনে নীলফামারীবাসী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় দেখতে না পেয়ে যানবাহন গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে থমকে থমকে।গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন একটি গড়ম কাপড়ের আসায় তাকিয়ে আছেন বিভিন্ন এনজিও ও সরকারি কর্মকর্তাদের দিকে।শীত ও ঠাণ্ডার কারনে তারা পাড়ছে না কাজে যেতে। আয় রোজগার করতে না পাড়ায় পরিবারগুলো সন্তান সন্ততি নিয়ে পড়েছে মহাবিপদে। এমন বৈরি আবহাওয়া বাড়তে থাকলে সমস্যা বাড়বে নিম্ন আয়ের মানুষের।খড়কুটো আগুন জ্বালিয়ে শৈতপ্রবাহের ঠাণ্ডা নিবারন করছেন কেউ কেউ। ঠাণ্ডায় শর্দি ও কাশি জনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধের মেডিকেলে ভর্তির সংখ্যা বেশী। স্বরজমিনে গিয়ে দেখাযায় নীলফামারী সদর পলাশবাড়ী ইউনিয়নের গজেন্দ্র নাথ রায় ও ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের দিনমুজুর নির্মল চন্দ্র রায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।কথা হলে তারা বলেন হামাড়া গরীব মানুষ,অন্যের বাড়িত কামলা দিয়া বউ ছাওয়াক বাছাই।এখন যে ঠাণ্ডা চলছে,মোটা কাপড়ো নাই,এদিকে ঠাণ্ডার কারনে কাজেও যাবার পাড়িছি না,পরিবারে
ছওয়াল পওয়াল নিয়া খামোকি দিশায় পাইছিনা। ঠাণ্ডা আরো বেশীদিন যদি থাকে হামার মরন।এদিকে জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেলেক্স গুলতে বেড়েছে রুগীর সংখ্যা।
নীলফামারীতে শনিবার সকালের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে এমন আবহাওয়া আরো ২ থেকে ৩ দিন বাড়তে পারে, ৯৪% আদ্রতার কারনে মধ্যরাত হতে দিনের দুপর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত অফিসার মোঃ লোকমান হাকিম ।